আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে?
অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে? সেই রিলেটেড ধ্যান-ধারণা আমাদের অনেকেরই রয়েছে। আর আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে তথ্যগুলো সম্পর্কে অবগত হতে চান, তাহলে এই আর্টিকেল থেকে সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
কারণ এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে কিভাবে আপনি চাইলে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন করার ক্ষেত্রে যাবতীয় তথ্য উপাত্ত বলি।
জন্ম নিবন্ধন জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে?
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করেন তাহলে একই রকমের তথ্য প্রয়োজন হবে।
অর্থাৎ আপনি যদি ইউনিয়ন পরিষদে চলে যান তাহলে যে সমস্ত তথ্য উপাত্তের প্রয়োজন হয়, ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করলে সেই একই রকমের তথ্য উপাত্তের প্রয়োজন হয়।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য যে সমস্ত তত্ত্বের প্রয়োজন হয় সেগুলো হলোঃ
- পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন কার্ড এবং জাতীয় পরিচয় পত্র।
- যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে চান ওই শিশুর যেকোনো চিকিৎসাপত্র।
- বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা।
- জন্ম নিবন্ধন ফি।
উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো যদি আপনার সাথে থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক এই সমস্ত তথ্য উপাত্ত সম্পর্কে বিস্তারিত।
পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন কার্ড ও জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার
যেকোনো শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ওই শিশুর পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিতে হবে।
কারণ, আপনি যেখানে তথ্য ইনপুট করবেন সেখানে একটি অপশনে পিতা-মাতা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দেয়ার বক্স পেয়ে যাবেন।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি এই ধাপ এড়িয়ে যেতে চান তা হলে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই তথ্য হিসেবে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার বসিয়ে দিতে হবে।
চিকিৎসাপত্র
আপনি যদি আপনার শিশুর জন্ম তারিখ সম্পর্কে প্রমাণ স্বরূপ কোন কিছু জমা দিতে চান, তাহলে আপনাকে সেই শিশুর চিকিৎসা পত্রে যে জন্মতারিখ দেয়া হয়েছে সেটি প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এছাড়াও আপনি যখন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চাইবেন তখন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার শেষের দিকে জন্ম নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কোনো একটি তথ্য আপনার কাছ থেকে জেনে নিতে চাইবে।
যাতে করে তারা এটা প্রমাণ করতে পারে যে আপনি যে জন্মতারিখ দিয়েছেন, সেটি আসলে সঠিক কোন জন্ম তারিখ। সে ক্ষেত্রে শিশুর জন্য চিকিৎসাপত্র প্রয়োজন হবে।
চিকিৎসাপত্র দেয়ার মাধ্যমে আপনি এটি প্রমাণ করে নিতে পারবেন শিশুর দেয়া জন্মতারিখ আসলেই সঠিক।
বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সম্পৃক্ত করে নিতে হবে। যেটা আপনি খুব সহজেই করে নিতে পারবেন।
যদি আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানায় একই হয়ে থাকে তাহলে একটিমাত্র ঠিকানা দেয়ার পরে সেটাকে আপনি চাইলে কপি করে অন্য আরেকটি ঠিকানায় বসিয়ে দিতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন ফি
জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন ফি এর প্রয়োজন হয়। শেখাতে জন্ম নিবন্ধন ফি হিসেবে যে ফি সরকার কর্তৃক বরাদ্দ হয়েছে, সেটি নিচে তুলে ধরা হলো।
জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা
জন্ম নিবন্ধন সেবা | ফি’র পরিমাণ |
---|---|
নতুন জন্ম নিবন্ধন ফি | ৪৫ দিন পর্যন্ত – প্রযোজ্য নয় ৪৫ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত- ২৫ টাকা ৫ বছরের বেশি- ৫০ টাকা |
জন্ম তারিখ সংশোধন ফি | ১০০ টাকা |
নাম, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য সংশোধন | ৫০ টাকা |
তথ্য সংশোধনের পর বাংলা ও ইংরেজিতে জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি | বিনা ফিসে |
বাংলা ও ইংরেজিতে জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি | ৫০ টাকা |
মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য জন্ম নিবন্ধন ফি | প্রযোজ্য নয় |
উপরে উল্লেখিত ফি দেয়ার মাধ্যমে আপনি জন্ম নিবন্ধন রিলেটেড যেকোন রকমের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে যখনই আপনি সফল জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে নেবেন, তারপরে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে সেই তথ্য-উপাত্ত জেনে নিতে হবে।
যখনই আপনি জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিবেন তার পরে যদি আপনার কাছে মনে হয় জন্মনিবন্ধন তথ্যগুলো সঠিক রয়েছে, তাহলে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে যদি আপনার দেয়া তথ্যগুলো থেকে থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করতে পারেন। এবং এর মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নিতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে? সেই রিলেটেড যাবতীয় তথ্য উপাত্ত সম্পর্কে উপরে উল্লেখিত আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো।